বাংলা সাহিত্যের শর্টকাট পদ্ধতি

বাংলা সাহিত্যের শর্টকাট পদ্ধতি

১. বঙ্কিমচন্দ্র উপন্যাস-১৪টি 

ঢাকা ইন্দিরা রোডে আনন্দমঠে প্রত্যেক রজনীতে যুগলাঙ্গুরীয় অনুষ্ঠান হয়। যে অনুষ্ঠানে রাধারানী সীতারামের প্রেমলীলা দেখানো হয় । এই অনুষ্ঠানে ইডেন কলেজ থেকে ২ জন সুন্দরী রমনী কপালকুন্ডলা মৃণালিনী বেড়াতে আসে আবার ঢাবি থেকে আসে ২ জন সুদর্শন তরুন রাজসিংহ চন্দ্রশেখর । তারা উভয়েই একে অপরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে নিজেদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি করে । কিন্তু এই সম্পর্কের মধ্য বিষবৃক্ষের চারা রোপণ করে দেয় দুর্গেশনন্দিনী এই বিষ বৃক্ষের চারা কিছুতেই তোলা সম্ভব হচ্ছিল না । অবশেষে এই বিষবৃক্ষের চারা তোলার জন্য একটা উইল করা হয় যার নাম কৃষ্ণকান্তের উইল । আর এই উইলটি তৈরি করেন দেবী-চৌধুরানী

1. ইন্দিরা                             8. আনন্দমঠে
2. মৃণালিনী                        9. রজনী
3. রাজসিংহ                       10. যুগলাঙ্গুরীয়
4. চন্দ্রশেখর                      11. রাধারানী
5. বিষবৃক্ষ                        12. সীতারাম
6. দুর্গেশনন্দিনী                 13.  কপালকুন্ডলা 

7. কৃষ্ণকান্তের উইল          14.  দেবী-চৌধুরানী

২. রবীন্দ্রনাথের কাব্যগ্রন্থ মনে রাখার কৌশল

মানষী, চিত্রা, সঙ্গীত, শ্যামলী এই চার বান্ধবী সন্ধ্যাবেলায় (সন্ধ্যা-সঙ্গীত) চৈতালী হাওয়ায় সোনার তরীতে ঘুরে বেড়াত ।তাদের অন্য বান্ধবীরা পূরবী, কল্পনা, কণিকা, সেঁজুতি প্রভাত বেলায় (প্রভাত-সঙ্গীত)  খেঁয়া-য় চড়ে ঘুরে বেড়াত । মানষী তখন গীতাঞ্জলী পড়ত আর কল্পনা তখন পানি থেকে পত্রপুট তুলত । সেঁজুতি তার জন্মদিনে নীকা ভ্রমণের আয়োজন করে সঙ্গে তার নবজাতক শিশু-টিকেও নেয় ।

  1. মানষী                                9. কল্পনা
  2. চিত্রা                                  10. কণিকা 
  3. সঙ্গীত                                11. সেঁজুতি 
  4. শ্যামলী                             12প্রভাত-সঙ্গীত 
  5. সন্ধ্যা-সঙ্গীত                      13. খেঁয়া 
  6. চৈতালী                             14.   গীতাঞ্জলী 
  7. সোনার তরী                       15. পত্রপুট 
  8. পূরবী                                 16.  নবজাতক শিশু

 রবীন্দ্রনাথের উপন্যাস মনে রাখার কৌশল

রাজর্ষি তার দুই-বোন-কে নিয়ে প্রায়-ই বৌ-ঠাকুরানী-র হাটে বেড়াতে যেত। গোরা ছিল রাজর্ষির বন্ধু ।গোরা রাজর্ষির ঐ দুই-বোন এর সাথে ঘরে-বাইরে যোগাযোগ রক্ষা করত ।এই নিয়ে সমাজের লোক চতুর্দিকে (চতুরঙ্গ)করতে থাকে। একদিন গোরার তিরে এসে নৌকাডুবি হয়।কারন গোরা ওই দুইবোনের এক বোনকে শেষের কবিতা কিনে উপহার দিয়েছিল। এই ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় দুইবোন একেঅপরের চোখের বালি হয়ে যায়। অবশেষে গোরা মালঞ্চ ও করুণা-কে নিয়ে নতুন অধ্যায় (চারঅধ্যার)শুরু করে।

  1. রাজর্ষি                         06. যোগাযোগ
  2. দুই-বোন                      07.  চতুরঙ্গ                        
  3. বৌ-ঠাকুরানী               08. নৌকাডুবি             
  4. গোরা                           09. শেষের কবিতা               
  5. ঘরে-বাইরে                  10. চোখের বালি          11.   চারঅধ্যার

রবীন্দ্রনাথের নাটকের নাম মনে রাখার কৌশল

আমাদের সমাজের কিছু যুবক প্রতিজ্ঞা করে যে, তারা চিরকাল কুমার থাকেবে আর মেয়েদের বিরক্ত করবে। সুতরাং তারা ডাকঘর-এ গিয়ে প্রেমপত্র দিত এবং তাসেরঘরে(তাসের-দেশ)গিয়ে জুয়া খেলত।তাদের শখ ছিল মুক্তধারা-য় গোসুল করার, গভীর রাতে বাসরী বাজানো এবং মেয়েদের রক্তকবরী উপহার দেওয়া।কিন্তু গোরায় গলদ থাকার কারণে একদিন তাদের সাথে চিত্রাঙ্গদা, মালিনী, তপতী ফাল্গুনি-র সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যা হতে পরিত্রাণের জন্য তারা রাজা চণ্ডালিকার দরবারে একটি সভা অহবান করা হয় যার নাম চিরকুমার সভা।কিন্তু সারদোৎসবে-এ বিসর্জন এর সময় বৈকুণ্ঠের খাতা খুলে দেখা গেল সভাটি অচলায়তনে পরিণত হয়েছিল। 

  1. ডাকঘর তাসের-দেশ             09. ফাল্গুনি 
  2. মুক্তধারা                               10. পরিত্রাণ
  3. বাসরী                                   11. রাজা চণ্ডালিকা
  4. রক্তকবরী                              12. চিরকুমার সভা 
  5. গোরায় গলদ                         13. সারদোৎসব 
  6. চিত্রাঙ্গদা                               14. বিসর্জন 
  7. মালিনী                                 15. বৈকুণ্ঠের খাতা 
  8. তপতী                                    16. অচলায়তন

নজরুলের কাব্যগ্রন্থগুলো ছন্দে ছন্দে মনে রাখা

নজরুলের কাব্যগ্রন্থগুলো ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ কোনো এক সন্ধ্যায় নতুন চাঁদ দেখার সময় ছায়ানটে লাগা প্রলয় শিখাঅগ্নিবীনা দেখে সাত ভাই চম্পা, দোলনচাঁপাফনিমনসারা চক্রবাক হয়ে সর্বহারার মতো ঝড় হাওয়ার গতিতে জিঞ্জিরার দিকে ছুটতে লাগল। সাম্যবাদী মরুভাস্করেরা শেষ সওগাত ঝিঙ্গেফুলবিষের বাশিঁ হাতে নিয়ে সিন্দুহিন্দোলের দিকে এগিয়ে চললেন।


জসীমউদদীনের বিখ্যাত কাব্যগ্রনথগুলো  ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ

রঙ্গিলা নায়ের-মাঝি হাসু রুপবতী সকিনা রাখালীকে নিয়ে বালুচরের ধানক্ষেতের মধ্য দিয়ে সোজান
বাদিয়ার ঘাটে গিয়ে এক পয়সার বাঁশি কিনে ফিরে আসার সময় নকশী কাঁথার মাঠেমাটির কান্না দেখল

ফররুখ আহমেদ রচিত কাব্যগ্রন্থগুলো  ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ

ঝড়ের কবলে পরে সাত সাগরের মাঝি, হাতেম তায়ী- সিরাজাম মুনিরানৌফেলকে বিপদের মুহূর্তের কবিতা পড়তে বললেন।

বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধায়ের উপন্যাসগুলো ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ

এক রজনীতে ইন্দিরা রোডে আনন্দ মঠের সামনে বিষবৃক্ষের নিচে দাড়িয়ে দুর্গেষনন্দীনিকপালকুণ্ডলা কৃষ্ণকান্তের উইল পড়ছিলো। কিন্তু রাজসিংহ তা দেখে দেবী চৌধুরানীর দুই ছেলে চন্দ্রশেখর এবং শীতারাম ও দুই মেয়ে মৃণালীনিরাধারানীকে বলে দিলে তারা ঐ যুগলাঙ্গুরীয়কে শাস্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো।

বেগম রোকেয়ার গ্রন্থ সমূহ ছন্দে ছন্দে মনে রাখা যায়ঃ

সুলতানার স্বপ্ন ছিলো ডিলিসিয়াদের মত অবরোধবাসিনীদের মুক্ত করে তাদের হাতে পদ্মরাগ ও মতিচূর ফুল তুলে দেবেন।


Comments

Popular posts from this blog

জেনে নিন উত্তরবঙ্গের মানুষকে মফিজ বলা হয় কেন ?

Fix Windows Setup MBR to GPT Partition Mood